এনকাউন্টারে খতম শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার তুলসী ভূইঁয়া

এনকাউন্টারে খতম শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার তুলসী ভূইঁয়া

সোমবার রাতে গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে পালামৌ জেলার সীতাচুনা এলাকায় কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে। এরপরই সেখানে অভিযান নামে নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘন জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় তল্লাশি শুরু করতেই নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর অবশেষে মৃত্যু হয় মাওবাদী এক শীর্ষ নেতা তুলসি ভুঁইয়ার। আহত হয়েছেন আরও এক মাও নেতা। তার নাম নীতেশ যাদব। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে রাইফেল-সহ বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র। পালামৌয়ের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল ওয়াই এস রমেশ বলেন, “পালামৌতে নিরপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাও)-এর এক শীর্ষ নেতার। আহত হয়েছেন আরও এক মাওবাদী।” এই নিয়ে গত ৪ দিনে ঝাড়খণ্ডে মৃত্যু হল তিন শীর্ষ মাওবাদী নেতার। এই তালিকায় রয়েছে মাওবাদী নেতা পাপ্পু লোহরা। ঝাড়খণ্ডের জনমুক্তি পরিষদের প্রধান এই পাপ্পু। যার মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা। ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি লাল সন্ত্রাসকে শেষ করতে ছত্তিশগড়েও জোরকদমে শুরু হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযান। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাও অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযানে ইতিমধ্যেই খতম করা হয়েছে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে, যার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা।

সম্পরকিত খবর