কদমতলায় নবযুগ সংঘের কালীপূজা — থিম “আগমনী”, থাকছে নাগা সাধুদের অঘোরী নৃত্য ও নানা আয়োজন

কদমতলায় নবযুগ সংঘের কালীপূজা — থিম “আগমনী”, থাকছে নাগা সাধুদের অঘোরী নৃত্য ও নানা আয়োজন

কালীপূজা মানেই ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর শহর — আলোকসজ্জা ও জাঁকজমকে গোটা রাজ্যের সর্ববৃহৎ প্যান্ডেলগুলোর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে এই শহর। প্রতি বছরই ধর্মনগরের পুজো দেখতে ভিড় জমায় গোটা ত্রিপুরা সহ প্রতিবেশী রাজ্য অসমের বরাক উপত্যকা থেকেও অসংখ্য মানুষ। পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে চলে উৎসবের রমরমা।


তবে এবার ধর্মনগরের পাশাপাশি সমান উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে ত্রিপুরা–অসম সীমান্তবর্তী কদমতলা। নবযুগ সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে এবার সেখানে পালিত হতে চলেছে ১৫তম বর্ষের কালীপূজা, যার বাজেট রাখা হয়েছে বিশাল ১৫ লক্ষ টাকা। এই বিশাল বাজেটের কারণে পুজোটি ইতিমধ্যেই উত্তর জেলার অন্যতম বৃহৎ কালীপূজা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।


প্রতি বছরের মতো এবারও কদমতলা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পুজো, তবে এবারের বিশেষ আকর্ষণ— “আগমনী” থিম, যার সম্পূর্ণ কারিগরি পরিচালনা করছেন পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ থেকে আগত শিল্পীরা।


আরও একটি অনন্য দিক হলো— এই প্রথমবারের মতো উত্তর জেলায় হরিয়ানা থেকে আগত নাগা সাধুদের দ্বারা পরিবেশিত অঘোরী নৃত্য অনুষ্ঠিত হবে, যা দেখা যাবে ২১ ও ২২ অক্টোবর। এরপর ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে শিশুদের ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় থাকছে রাজ্য ও বহিররাজ্যের শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৪ অক্টোবর আয়োজিত হবে রক্তদান শিবির ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি।


সম্প্রতি খুঁটি পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজের শুভ সূচনা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মিহির রঞ্জন নাথ, জেলা পরিষদের এগ্রি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মামনি রায়, কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভাবনা মালাকার নাথ সহ ক্লাবের সকল কর্মকর্তা ও সদস্যরা।


উৎসবের আমেজে ইতিমধ্যেই মুখরিত কদমতলা। স্থানীয় মানুষ উৎসুক আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নবযুগ সংঘের “আগমনী” থিমের এই বিশাল কালীপূজার জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনের জন্য, যা নিঃসন্দেহে উত্তর ত্রিপুরার উৎসব মানচিত্রে যুক্ত করবে নতুন মাত্রা।

সম্পরকিত খবর